Skip to content

প্রকল্পের অর্থায়ন

জিসিএফ, স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে অংশীদারীত্বের মাধ্যমে প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়ন করে থাকে। তহবিল অনুদান, ঋণ, লভ্যাংশ এবং গ্যারান্টি সহ নানাবিধ আর্থিক দলিল ব্যবহার করে এই কাজটি করে থাকে। জিসিএফ-র বেসরকারী খাতে সহায়তার মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক বাজারের ধারায় নিয়ে আসাও অন্তর্ভুক্ত।

স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো জিসিএফ-র তহবিল গঠন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। তারা জিসিএফ এর নিকট তহবিল সংক্রান্ত আবেদনপত্র উপস্থাপন এবং জিসিএফ অনুমোদিত সার্বিক প্রকল্প ও প্রোগ্রামসমুহের নজরদারি, তদারকি, ব্যবস্থাপনা ও পরিবীক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।

স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়নের প্রস্তাবগুলোর প্রত্যক্ষ বাস্তবায়নকারী হিসেবে কাজ করতে হয় না। নির্বাহী সংস্থাগুলো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে তহবিলসমুহের বন্টন এবং অর্থায়নকৃত কর্মকাণ্ড চালিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। কিন্তু স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে আর তা হলো নির্বাহী সংস্থাগুলোর জিসিএফ সম্পর্কিত কাজকর্মের তদারকি করা।

জিসিএফ এর প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর অনুমোদনের ক্ষেত্রে সেই প্রকল্পগুলোর পক্ষে দেশের কৌশলগত অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকাণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। জিসিএফ বোর্ড যে সকল প্রকল্প করতে রাজী হয় তার প্রতিটিকেই রাষ্ট্রের এনডিএ বা কেন্দ্রিয় প্রতিষ্ঠানের একটি অনাপত্তি পত্রের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে।

উন্নয়নশীল দেশগুলো পরিপূর্ণ প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করতে গিয়ে যে সকল যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট বাধার সম্মুখীন হয় তা দূর করার জন্য জিসিএফ তার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আর্থিক সাহায্য দিতে প্রকল্প প্রস্তুতির সামর্থ্য নিশ্চিত করেছে যাতে করে তাঁরা প্রকল্প এবং প্রোগ্রাম সমূহ তৈরি করতে পারে।

প্রকল্প অর্থায়নের ধাপসমুহ

রাষ্ট্রের এনডিএ বা কেন্দ্রিয় প্রতিষ্ঠানের সাথে পরামর্শক্রমে, প্রকল্প অর্থায়নের প্রস্তাব গুলি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো জিসিএফের দ্বারা প্রস্তুতকৃত প্রস্তাবসমুহে বিভিন্ন সময়ে তাদের মতামত জানাতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে অনুমোদন পায়নি এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু, আনুষ্ঠানিকভাবে জিসিএফের কাছে আর্থিক প্রস্তাব পেশ করার সময় অননুমদিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদার হয়েই তা করতে হয়।

প্রস্তাবের জন্য আহ্বান

জিসিএফ বোর্ড বেশ কিছু সহায়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যাতে করে প্রকল্প প্রস্তাব আহবান করা যায়।

  1. অতি-ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসার জন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্প : জিসিএফের বেসরকারি খাতের সুযোগ হিসেবে অতি-ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসার জন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্প গুলি ২০১৬ সালে স্থাপন করা হয় । এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে অতি-ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগ গুলিকে প্রস্তুতি নিতে এবং খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করা।

  2. সরাসরি অংশগ্রহণ ত্বরান্বিত করা : সরাসরি অংশগ্রহণ ত্বরান্বিত করার আলোকে ১০ টি পরীক্ষামূলক অর্থায়ন প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে জিসিএফ ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে। এসব প্রকল্প শুধুমাত্র সরাসরি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকেই গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

  3. পরীক্ষামুলক ক্ষুদ্র প্রকল্পসমুহে অর্থের যোগান দেওয়া : পরীক্ষামুলক ক্ষুদ্র প্রকল্পসমুহে অর্থের যোগান প্রকল্প প্রণীত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রমে উদ্ভাবনী, অধিক কার্যকরী প্রকল্প এবং প্রোগ্রামসমূহ চিহ্নিত করতে যেগুলি বেসরকারী খাত থেকে অর্থের যোগান নিয়ে থাকে।

  4. সহজ অনুমোদন প্রক্রিয়া : সহজ অনুমোদন প্রক্রিয়ার (SAP) অধীনে বিবেচনার জন্য ক্ষুদ্র প্রকল্প গুলোর সংক্ষেপিত সারমর্ম পেশ করা যেতে পারে। এস এ পি’র অধীনে প্রকল্প বা প্রগ্রামগুলিকে শুরু থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নথিসমূহ এবংযাচাইবাছাইয়ের বিষয়টি কমিয়ে এনে সহজ করা হয়েছে। অনুমোদিত সংস্থাগুলি, জাতীয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ (এনডিএ) বা কেন্দ্রিয় প্রতিষ্ঠান এবং তাদের অংশীদারেরা এসএপি’র অধীনে সংক্ষেপিত সারমর্ম পেশ করতে পারে যদি নিম্নোক্ত তিনটি যোগ্যতা থাকে:

বড় কিছু করতে প্রস্তুত এবং পরিবর্তন আনতে সক্ষম আর কমনির্গমন এবং জলবায়ু পূর্বের অবস্থায় নিতে আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে প্রস্তুত।

  • জিসিএফের কাছে মোট প্রকল্প বাজেটের মধ্যে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন চেয়ে আবেদন করা
  • সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব একদম কম কিংবা নেই এমনভাবে নির্দেশ করা।


প্রকল্প অর্থায়ন প্রস্তাব পেশ : ধাপভিত্তিক পরামর্শ

তৈরির সময়